২০১১ সালে প্রথম চলচিত্র ‘মেহেরজান’ পড়েছিল বিতর্কের মুখে। “শিল্পকর্মের ভুল অ্যানালাইজ করে হল থেকে নামিয়ে ফেলা হয়েছিল সেই ছবি”। ২০১৬ সালে ২২ জানুয়ারি আজকে। পাঁচ বছর বিরতির পর আজ থেকে হলে মুক্তি পাচ্ছে  তাঁর নতুন ছবি “আন্ডার কন্সট্রাকশন”। পরিচালক রুবাইয়াত হোসেনের কথা বলছি। এশিয়ার দশ নারী ফিল্ম মেকারের মধ্যে একজন তিনি।নিউইয়র্ক ভার্সিটিতে সিনেমা স্টাডিজে পড়াশুনা করেছেন। তবে তাঁর অনার্স ছিল ওমেন স্টাডিজে, পেনিসেলভেনিয়া ইউনিভার্সিটিতে।এই কারণেই কি নারীই তাঁর ছবির একমাত্র উপজীব্য! তাই আবারও নারী জীবনের এক আত্মঅনুসন্ধানের মুভি হয়ে উঠল ‘আন্ডার কন্সট্রাকশন ‘। ফেমিনিজমবাংলার আড্ডায় উঠে এলো পর্দার পেছনের গল্প, নারীজীবন নিয়ে তাঁর দর্শনের কথা।

‘আন্ডার কন্সট্রাকশন’ নামটা কেন?

অনেক ইন্টারভিউতে এর উত্তর বলেছি।আচ্ছা আবার বলি, মুভিটাতে একটা মেয়ে, রয়া,একজন থিয়েটারকর্মী, তার আত্মঅনুসন্ধানের গল্প রয়েছে। রয়া নতুন করে মঞ্চে নির্মাণ করে রবীন্দ্রনাথের ‘রক্তকরবী’কে। এই যে রয়ার এই বিনির্মাণ, অন্যদিকে ময়না কিংবা নারী জীবনের যে সংগ্রাম তা কিন্তু শেষ হয় নি। বরং চলছে। আমার ছবিতে ইন্ডিংটা তাই এইভাবে অসমাপ্ত রাখা,আমি কিন্তু রয়াকে কোন এস্টাব্লিশ রুপে দেখাই নি শেষে। এই বহমান সংগ্রাম এখনও কন্সট্রাক্ট হয় নি। তাই নাম রেখেছি “আন্ডার কন্সট্রাকশন”।

রয়ার মধ্যে আমরা বাংলাদেশী মেয়েরা নিজেদের খুঁজে পাই!

শুধু বাংলাদেশী না, আমি সাউথ আমেরিকা তে দেখিয়েছি মুভি,ওখানকার মেয়েরাও বলেছে “রয়া তাদের জীবনের গল্প”। ইউরোপের মেয়েরাও একই কথা বলেছে। আসলে রয়া মিডলক্লাস একটা ওমেনের গল্প। এইখানে সাউথ, ইউরোপ কোন কিছুতেই রিলেট করা সম্ভব না।

Universal Character বলছেন?

Universal কথাটা আমি বলব না! আমি বলব common element।রয়া এইখানে রানা প্লাজা নিয়ে কাজ করছে, যক্ষপুরীর সঙ্গে তুলনা করেছে আজকের ঢাকাকে। তাই রয়া হয়ে উঠেছে সব মেয়ের গল্প। কোন বিশেষ ক্লাস বা গোত্র না!

আপনি রয়ার মাকে একসাথে প্রচণ্ড কনজারভেটিভ এবং স্বাবলম্বী নারী হিসেবে দেখিয়েছেন। আবার রয়া মুক্তমনা, কিন্তু স্বাবলম্বী না! ফেমিনিজমের সংজ্ঞা আপনার কাছে কি ? স্বাধীনচেতা হওয়া না স্বাবলম্বী?

আমার কাছে ফেমিনিজমের কোন একক সংজ্ঞা নেই। সারা বিশ্বেই বলা হচ্ছে there is no one way to define feminism। এটা পরিবর্তিত হয় পারসন টু পারসন, কমিউনিটি টু কমিউনিটি। এই যেমন হিজাব পড়াকে আমরা প্রচণ্ড কনজারভেটিভ মনে করি। কিন্তু ফ্রান্সের মুসলিম মেয়েদের হিজাব পড়ার প্রতি নিষেধাজ্ঞা জ্ঞাপন করার পর, ওখানকার মেয়েরা এখন হিজাব পড়ছে প্রতিবাদস্বরূপ হিসেবে! এটা কে কি বলবেন আপনি? আমার সিনেমায় দুই জেনারেশন দেখার মাধ্যমেই নারীর empowerment বিষয়টা তুলে ধরেছি। কনজারভেটিভ মা,তিনি কিন্তু নিজেই বলে উঠেছে “আমার কাউকে দরকার নেই, আমি একাই চলতে পারি”। মায়ের কিন্তু আমাদের দরকার নেই, আমাদের কিন্তু মা কে ঠিকই দরকার। মা নিজের টাকায় চলেন, রয়া সেখানে আত্মনির্ভরশীল না। Woman empowerment র যে হাজারটা শেড আছে তাই আমার সিনেমায় উঠে এসেছে। সিনেমাটা প্রিজমের মত কাজ করেছে এই ক্ষেত্রে। প্রিজমে যেমন এক আলো কেন্দ্রীভূত হলে সাত আলোর রং পাওয়া যায়, সেইরকম আমার সিনেমায় উঠে এসেছে বিভিন্ন মিনিং এর লেয়ার।

r3

রয়া যখন হিরো

হিরো বা কেন্দ্রীয় চরিত্র সর্বদা হয় খুব ভাল বা আদর্শ কিছু। রয়া কিন্তু কোন আদর্শ চরিত্র না। তার মধ্যেও হাজার খারাপ দিক আছে। সে ময়নার সঙ্গে চিল্লাচিল্লি করে, মায়ের সঙ্গে ঝগড়া করে, নিজের সংসারে তার ভুলত্রুটি আছে, বিবাহিত হওয়া সত্ত্বেও ইমতিয়াজের সঙ্গে সে একটা সম্পর্ক গড়ে উঠে তার। এই সবকিছুই প্রমাণ করে রয়া হিরো না, রয়া নর্মাল ক্যারাক্টার।

 

অনেকেই বলে বিশ্বের সব দেশেই বেশীরভাগ মেয়েরা কোন জবের টপ পজিশনে যায় না, বাংলাদেশের নারীরা…।।

বাংলাদেশের নারীদের ক্ষেত্রে তো আমি সেইভাবে কিছু দেখিনি। বরং আমি দেখছি এখানে মেয়েরা এখন ভীষণ পজিটিভ। জুঁইয়ের গল্পটা দেখুন, স্বামী হাতের আঙ্গুল কেটে দিয়েছে, তারপরও কি অদম্য উৎসাহে বোর্ড পরীক্ষা দিতে গিয়েছে। কিংবা রুমানার কথাই যদি বলি, স্বামী অন্ধ করে দিয়েছে, সিঙ্গেল মাদার হিসেবে জীবন লিড করছে, পিএইচডি করছে। আমাদের দেশের গার্মেন্টসের মেয়েদের দিকেই তাকান। দেশের সবচেয়ে বেশী রেভিনিউ আসছে যে উৎস থেকে, তার পিছনেই আছে হাজার হাজার নারী। এইসব দেখলে মনে হয় বাংলাদেশের মেয়েরা অনেক অনেক এগিয়ে গেছে। রয়া তো জুঁইয়ের ঘটনা শুনেই নিজে সাহস পায়,দৃঢ় ডিটারমিনেশন করে। এখনকার বাংলাদেশের মেয়েরা প্রত্যেকেই ভীষণ পজিটিভ ভাবে সব অন্যায়ের প্রটেস্ট করছে।

৫০০ জন মেয়ের জন্য ফ্রি তে প্রদর্শনী! বাংলাদেশের জন্য প্রথম! ডিস্ট্রিবিউশনের এই চিন্তা কি আগের থেকেই মাথায় ছিল?

সেরকম ভাবে না। স্ক্রিনিং এর এই আইডিয়া আরও পরে এসেছে। গল্পটা যেহেতু মেয়েদের ছিল, ভাবলাম সব ফিমেল দর্শকদের সবাইকে একসঙ্গে করি। এতে করি মেয়েরা ফিল করবে তাদের আলাদা গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। দর্শক হিসেবে তারা আলাদা ইন্টারেস্ট পাবে, এইজন্যই এই এনভায়রমেন্ট ক্রিয়েট করা। তাছাড়া আমার সঙ্গে প্রচুর নারী ফিল্ম মেকার কাজ করেছিল। তাদের প্রত্যেককে প্রদর্শনীর শেষে সবার সামনে পরিচয় করিয়ে দেই। এতে করে মেয়েরা অনেকেই encourage ফিল করবে। দেশে তো সিনেমা বানানোর ক্ষেত্রে ছেলে মেয়ের সংখ্যাটা ভীষণ ইমব্যাল্যান্স। কজন মেয়ে আছে ডিরেকশন দিচ্ছে, এডিট করছে কিংবা সিনেমাটোগ্রাফার হিসেবে কাজ করছে? তাই মেয়েদের এই পেশাতে আসার প্রতি encourage করানও একটা লক্ষ্য ছিল এই প্রদর্শনীর।

কাছের হলগুলোতে কবে আসবে? মানে ৫০ টাকার দর্শকও যাতে afford করতে পারে এমন?

বলাকা, শ্যামলী, সিনেপ্লেক্স এবং যমুনাতেই প্রথম ধাপে দেখান হচ্ছে। আসলে আমাদের প্রোডাকশনও তো নতুন। তাই নতুন প্রতিষ্ঠান হিসেবে এত বেশী হলে distribute করাটাও তো ডিফিকাল্ট। এই হলগুলোতে চলুক, পরে আরও হলে ডিম্যান্ড এলে অবশ্যই নেব সেখানে। তাছাড়া ঢাকার বাইরে খুব শীঘ্রই বিভিন্ন অডিটোরিয়ামে দেখান হবে মুভিটা। তখন টিকিটের দাম এমনিই কম থাকবে।

মেহেরজান আমি দেখি নি! বিতর্কের ইস্যুতে আমি যাব না! কিন্তু ২০১১ র পর ২০১৬ তে এসে আন্ডার কন্সট্রাকশন, এই বিশাল গ্যাপ কেন?

একটা ফিল্ম যে বানায়, ওভাবে বিতর্কের পর, যা বোঝাতে চেয়েছি তা ঠিকভাবে অ্যানালাইজ না করে, ভুল ব্যাখা দিয়ে হল থেকে নামিয়ে দেবার ঘটনা একজন নতুন ফিল্ম মেকারের জন্য প্রচণ্ড ডিফিকাল্ট সিচুয়েশন। এর মধ্যে আমি নিউইয়র্ক ইউনিভার্সিটি তে সিনেমা স্টাডিজে পড়েছি। আর ১৬ তে আন্ডার কন্সট্রাকশন মুক্তি পেলেও আমি কাজ শুরু করেছি ১৩ তে। এডিটিং এ আমি অনেক বেশী সময় নিয়েছি, প্রায় ৯ থেকে ১০ মাস। প্রায় ২৭ থেকে ২৮ টা ভার্সনে এডিট করেছি এই মুভি। জুলাই মাসের রিলিজ হওয়ার কথা ছিল। তখন ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল থেকে বলা হল, তারা এটা প্রিমিয়ার করতে চায়। তাই আরও পিছিয়ে ছয় মাস।

r5

আচ্ছা একটা কথা জানতে ইচ্ছে হচ্ছে, “মেহেরজান” এর পর কি অভিমান হয়েছিল?

অভিমান হয় কাদের সাথে বলুন? যাদেরকে আমি চিনি, যারা আমাকে চিনে, আমি কি কাজ করি তা জানে, তাদের সঙ্গে। যাদের আমি চিনি না, তাদের সঙ্গে অভিমান করতে যাব কেন? তবে মেহেরজান আমাকে একটা বিষয়ে ভীষণ পজিটিভ বানিয়েছে। কেউ যদি খুব খারাপ বলে বিচলিত হবার কিছু নেই, ভাল বললেও অনেক বেশী খুশি হবার কিছু নেই। নিজের কাজের জায়গা নিজেকেই করে নিতে হবে। কেউ বললেই আমি ভাল, কেউ বললেই আমি খারাপ, এটা কখনই ভাবা ঠিক না। কারও ভালমন্দের রিঅ্যাকশনের উপরে বেস করে আমি কাজ করছি না। এই যে এখন আন্ডার কন্সট্রাকশন বানানোর পর অনেকেই বলছে আমি গ্রেট একটি ছবি বানিয়ে ফেলেছি! এর মানে কি এই আমি ফিল্মের জগতে বিশাল কিছু হয়ে গেছি! মোটেও না! কোন ভাল খারাপ প্রশংসা আমাকে নিয়ন্ত্রন করে না।

প্রথম ছবিতে জয়া বচ্চন, দ্বিতীয় ছবিতে শাহানা গোস্বামী! বলিউডের নায়িকারাই কেন আপনার ছবির মেইন রোল?

মেহেরজানে কিন্তু আমি কবরীকে অফার করেছিলাম, করেননি। আলী যাকেরকেও করেছিলাম, তিনিও করেন নি। আমার সবসময় ফার্স্ট চয়েজ এই দেশের অভিনেতা অভিনেত্রীদের নিয়েই ছিল। আমি তাঁদের নিয়েই কাজ করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু পারিনি। আর শাহানা গোস্বামীকে সিলেক্ট করা হয়েছে অডিশনের মাধ্যমে। বাংলাদেশ থেকে দুজন এবং ইন্ডিয়া থেকে দুজনের অডিশন নেবার পরেই শাহানাকে সিলেক্ট করি রয়া চরিত্রের জন্য।

বাংলাদেশের মানুষ নাকি larger than life ছবি দেখতে ভালবাসে!ইয়া ঢিসুম ঢিসুম……, মানে বাস্তবে যা হয় না! আচ্ছা নারী হিরো হবে সেটা তো larger than life র মধ্যেই পড়ে, তাহলে নারীকে হিরো বানানোর প্রবণতা কম কেন?

এটা তো গ্লোবাল কন্টেক্সটই। ১০০ কোটি ফিল্ম হিসেবে আখ্যায়িত পেল পাশের দেশের জয়া আখতারের ‘জিন্দেগি মিলে না দোবারা’, গল্প বলল তিন ছেলেকে নিয়ে! কেন তিন মেয়েকে নিয়ে নয়? কারণ ছেলেদের নিয়ে গল্প বললে হলে লোক পাবে, মেয়েদের নিয়ে নয়। এটা গ্লোবাল ইস্যুই। কি হলিউড, কি বলিউড, মেয়েদের রাখা হয় ছবির সৌন্দর্য বাড়ানোর জন্যই। আমার অনেক দেশের ফিল্ম ডিরেক্টরের সঙ্গেই পরিচয় আছে। তারাই বা সংখ্যায় কত! কয়টা ফিমেল ডিরেক্টর অস্কার বা কান পেয়েছে! মেয়েদের ফিল্মে অবস্থান তো কেবল অভিনেত্রী হিসেবেই।

r4

কীভাবে সম্পূর্ণরুপে Women empowerment প্রতিষ্ঠিত হবে?

মেয়েদের ভীষণ consciously কাজ করতে হবে। কাজের ক্ষেত্রে ছেলে মেয়ের মধ্যে অনেক ইমব্যাল্যান্স আছে, তা নিজেদেরকেই দূর করতে হবে। ছেলেরা এসে তো এটা করে দিবে না। নিজেদেরকেই সচেতন হতে হবে! কেউ তো জোর করে কাজ করিয়ে দিতে পারে না! নিজেদেরকে আগ্রহী হতে হবে, প্রচুর পরিশ্রম করতে হবে।

 

নারীমুক্তি আপনার কাছে কি?

কোন স্পেসিফিক সংজ্ঞা নেই। কারও কাছে হয়ত আছে। আমি ব্যাক্তিগতভাবে মনে করি, খুব ছোটবেলা থেকেই আমাদের মধ্যে মেয়েদের একটা চরিত্র ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। মেয়েকে সুন্দর হতে হবে, সুন্দর জামাকাপড় পড়তে হবে, গয়না পড়তে হবে। আমার বন্ধুর তিনবছরের ছেলে টিপ পড়ে, লিপিস্টিক দেয়, ও কিন্তু বুঝে না ছেলে মেয়ে কি। ওকে তখন বলা হয় “ তুমি ছেলে হয়ে টিপ পড়বে না, এটা মেয়েদের জিনিস”। এইগুলো আসলে সোশ্যাল কালচার মিথ। বিয়ে হলে বাচ্চা নেওয়া, সংসার করা! এইসবও মিথ! আমি কি হতে চাই, সেটা বিষয়ে ক্লিয়ার থাকাটাই নারীমুক্তি। কেউ যেন জোর করে কোন মতামত আমার উপর না চাপায়। আসলে একটা হিউম্যান বিয়িং হয়ে উঠাটাই তো স্ট্রাগল আমাদের। বেগম রোকেয়ার বড় বোন খুব মেধাবী ছিলেন, বিয়ের পর পড়তে পারেননি। তখন রোকেয়া বলেছিলেন, হিউম্যান পটেনশিয়ালিটির কি মারত্মক ক্ষতি হচ্ছে। এই হিউম্যান পটেনশিয়ালিটি যেন নষ্ট না হয়, সম্পূর্ণ কাজে লাগে, সেটাই একমাত্র নারীমুক্তির মূলমন্ত্র।

r1

নেক্সট কাজও কি নারীদের নিয়েই হবে?

হ্যাঁ, নারী ইস্যু নিয়েই হবে। স্ক্রিপ্ট লিখছি এখন। আমার কিন্তু পড়াশুনার জায়গাটাও ওমেন স্টাডিজ। আমার ভার্সিটি থেকে প্রচুর পরিমাণ ওয়ার্ল্ড ক্লাস ফেমিনিস্ট বের হয়েছেন। আমি ছিলাম ভিকারুন্নেসার স্টুডেন্ট, বাড়িতে ছিলাম আমরা দুই বোন, ১৮ বছর বয়সে আমেরিকাতে পড়তে যাই, সেখানে আমি সম্পূর্ণ এক জীবন যাপন করি। আমার জীবনটাই কেটেছে একটা মেয়েময় পরিবেশে, পড়াশুনার ক্ষেত্রটাও তাই ছিল। তাই নারীদের নিয়ে কাজ করার ক্ষেত্রে এই ব্যাপারগুলো ভীষণ ইমপ্যাক্ট ফেলে। আমি নারীদের নিয়ে কাজ করতেও তাই খুব কমফোরট ফিল করি।

অনেক শুভকামনা আন্ডার কন্সট্রাকশনের জন্য, এবং খুব শীঘ্রই নতুন ছবি দেখতে চাই।

আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ।